October 24, 2024, 2:17 pm
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলায় সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বিক্রি করায় প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। এর ফলে কোল্ড স্টোরেজগুলোতে পর্যাপ্ত আলু থাকার পরও কমছে না আলুর দাম।
গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজি ৫-৬ টাকায় বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ ক্রেতাসহ সচেতন মহল।
এ জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং এবং কোল্ড স্টোরেজে তদারকি বাড়ানোর দাবি তুলেছে তারা। সরেজমিনে গোবিন্দগঞ্জ পৌর,ফাঁসিতলা,নাকাইহাটসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে কার্ডিনাল,সূর্য মুখি ৫৫ টাকা,পাকরি ৬০টাকা কেজি আলু বিক্রি করছেন দোকানিরা।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, এই সময়টাতে আলু উৎপাদনকারীদের ঘরে আলু থাকে না। যা আছে তা ষ্টোরে রয়েছে। ষ্টোরে কৃষকের সামান্য বীজ আলু থাকলেও বেশীর ভাগ আলু মজুতদাররা তাদের নামে ও বি়ভিন্ন নামে ডিও কেটে আলু মজুদ করেছেন ।অনেক মজুতদার আবার সারা বছর যে কৃষকরা আলু বিক্রি করে সেই আলুর বস্তার ডিও কিনে নেন।
এ ক্ষেত্রে সরকারী ভাবে আলুর মজুদ জানতে চাইলে হিসাব নিকাশে,বা আলু বের করার সময় সুযোগে ক্লোড স্টোর পিকার ও ম্যানেজারগন তাদেরকে মজুমদারগনকে সহযোগিতা করে থাকেন।
গত বছর ৩০০ টাকা বস্তা প্রতি ভাড়া থাকলেও এ বছর নেওয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা। বিদ্যুতের দাম বেশির অজুহাতে আলুর সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে, যা অযৌক্তিক বলছেন তারা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট করার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,এখন ক্লোড স্টোরে মজুতদারদের কোন আলু নেই, সব আলু কৃষকের। ষ্টোরের ভাড়া বৃদ্ধি,বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধি,সবজির দাম বৃদ্ধির জন্য আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান।
আলুর ক্ষুদ্র পাইকারি বিক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, বর্তমানে কোল্ড স্টোরগুলোতে। তারা দাম ছাড়ছে না। স্টোরেই প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে ৫০থেকে ৫৫ টাকা। সেই আলু রিকশায় আনা-নেওয়া খরচসহ এক,দুই টাকা বেশি দরে বিক্রি করলেও ৫৫থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে হিমাদ্রি ক্লোড স্টোরেজ লিমিটেডের ম্যানেজার জানান,এখন ৪৫থেকে ৪৬টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে।আমরা কোন ব্যবসায়ীকে লোন দেইনা,সেই কারনে ব্যবসায়ীদের সাথে চুক্তিপত্র বা নিয়ন্ত্রণ করি না,এখনও সব কৃষকের আলু আছে,কেউ সিন্ডিকেট করছে না।