October 22, 2024, 3:35 am
নওগাঁয় আস্তান মোল্লা কলেজের শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁ আস্তান মোল্লা কলেজের পদত্যাগকারী অধ্যক্ষ মোঃ মাহবুবুল ইসলামের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে দূর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য এবং নানা খাতে অর্থ আত্মসাৎ-এর অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহিনা আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ২০১৬ সালে বিগত সরকারের সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমলের নিকটাত্মীয় হিসেবে দলীয় প্রভাবে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন মাহবুবুল ইসলাম।
দলীয় সাহসে অধ্যক্ষ বেপরোয়া অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই একক সিদ্ধান্তে কলেজ পরিচালনা করে আসছেন।
পদত্যাগকারী অধ্যক্ষ নিয়োগ বানিজ্যসহ আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
জনতা ব্যাংক কাজীর মোড় শাখা’র সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ৭২৫১-এ গত ১৮-৫-২০২২ তারিখে ৩ লক্ষ টাকা এবং ২৩-৫-২০২২ তারিখে ৪ লক্ষ টাকা মোট ৭ লক্ষ টাকা জমা দেন। পরবর্তীতে ঐ ব্যাংকের ৩০৯৩৮২১ তারিখ ২৬-৫-২০২২ মোতাবেক ৭ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু এই টাকা কলেজের ব্যাংকের সাধারণ হিসাবে জমা না দিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করেছেন।
অভিযোগ করা হয় তাঁর সময়ে অনার্স পর্যায়ে ১২ জন, ল্যাব সহকারী ৪ জন এবং নৈশ প্রহরী ১ জন নিয়োগ দেয়া হয়। মোট ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন
এ ছাড়াও মনগড়া ভাবে কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ, কেনাকাটা ও প্রয়োজনীয় খরচ করে এসেছেন। এসব খরচের মনগড়া খরচের ভাউচার সংরক্ষণ করে রেখে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এর মধ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবীর প্রেক্ষিতে গত ২১ আগষ্ট’২০২৪ উক্ত মো: মাহবুবুল ইসলাম অধ্যক্ষ পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগ করলেও তিনি অফিসের আলমারি গুলো’র চাবি অফিসে ফেরৎ না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। এতে অফিসের কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাজপত্র ভেতরে আটকা থাকায় শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ, পদোন্নতি, টাইম স্কেল ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা প্রদান সম্ভব হচ্ছে না।
এ দিকে তাঁর উদাসীনতার কারনে এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের মুল সার্টিফিকেট মার্কশিট প্রশংসাপত্র উই পোকা কেটে বিনষ্ট করে ফেলেছে। এর ফলে শত শত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হলে তারা আর তাদের এসব মুল কাগজপত্র ফেরত পাবেনা। ফলে আগামীতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ এবং চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হবে।
