October 22, 2024, 3:28 am
নওগাঁ প্রতিনিধি: বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০২ সালে ১ মার্চ আইন করে বিষাক্ত পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। বাজার থেকে পলিথিনের ব্যবহার কমেনি। আইনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ২০ বছর ধরে বেড়েই চলেছে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার। এরপর সরকার ২০১০ সালে আরেকটি আইন করে আজ অবদি সেটিই কার্জকর আছে, পলিথিন আসলে পচে না। শত শত বছর মাটির নিচে অক্ষত থেকে যায়। ২০০ থেকে ৪০০ বছর পর্যন্ত লেগে যায়। নিষিদ্ধ এই পলিথিন একই সঙ্গে কৃষিজমি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে।
অবৈধ পলিথিনের ব্যবহার মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলে পরিবেশের উপর, ব্যাহত হয় ফসল উৎপাদনে, কমে যায় টপ সয়েলের মাণ, দ্রুত না পচাঁর কারণে আবহাওয়া হয় দূষিত চারিদিকে ছড়িয়ে পরে নানা রোগ ব্যাধি এমন কি পলিথিন পোড়ানোর কারণে এক ধরনের বিষ ক্রিয়া তৈরী হয় যার ভয়াবহতা হিসেব মানুষ মারা ও যেতে পারে।
গতকাল জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ শামীম রেজা সজীবের নেতৃত্বে, মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল হোসাইন। জেলা পুলিশ নাওগাঁর একটি চৌকস দল মোবাইল কোর্টে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
নওগাঁ শহরের পুরাতন মাছ বাজারে অবৈধ পলিথিনের বিরুদ্ধে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টে দত্ত ট্রেডার্স ও জননী পেপার হাউজ নামক দুটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতামূলকভাবে ২০০ টাকা করে মোট ৪০০ টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়। ভবিষ্যতে অবৈধ পলিথিন ব্যবহার না করার জন্য উক্ত দুই প্রতিষ্ঠানসহ বাজারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সতর্ক করা হয় এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। এছাড়া উক্ত মোবাইল কোর্ট শুরুর আগে শহরের পৌরবাজার মার্কেট ও পৌর কাঁচা বাজারে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকরা হয়।
সহকারী পরিচালক বলেন, অবৈধ পলিথিনের বিরুদ্ধে এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।