September 19, 2024, 1:47 am

নোটিশ:
সংবাদদাতা আবশ্যক
সংবাদ শিরোনাম:
উপজেলা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ। নিউ হোপ এ্যানিমেল নিউট্রিশন কোম্পানীর পক্ষ হতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের জন্য গো- খাদ্য প্রেরণ। বগুড়ার শাজাহানপুরে জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫। ঘোড়াঘাটে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত। কাহালুর মাঝপাড়া জাগ্রত মানবসেবা সংস্থার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন। তালোড়ার ডাঃ শফিউল করিমের প্রাণ নাশের চেষ্টা থানায় জিডি। কাহালুর এরুইল বাজার ইসলামী ব্যাংক এজিন্ট শাখার গ্রাহক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা। বগুড়ার কাহালুতে নকল সোনা মূর্তি সহ ২ জন গ্রেফতার। কাহালুর ইউএনও’র স্বেচ্ছাচারিতায় বিতর্কিত কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও সুন্নতী জামে মসজিদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত।

বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা করেন ফুফাতো ভাই।

দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: মাত্র সাত হাজার টাকার চুক্তিতে বন্ধুদের কাছে সাত বছরের শিশু মামাতো বোনকে ধর্ষণের জন্য তুলে দেন ফুফাতো ভাই ছাব্বির। পরে বন্ধুদের সাথে নিজেও ধর্ষণ করেন মামাতো বোনকে। এরপর শিশুটি ধর্ষণের কথা বলে দেওয়ার কথা বললে সবাই মিলে তাকে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যান সবাই।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় সাত বছরের শিশুকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য সাত বছর পর উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুই আসামি শিশুর ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাই স্কুল মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশুটি। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের রশিদ মেম্বারের ছেলে মিলন পাশাসহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশুটিকে দেখেন। তখন আসামিরা শিশুটিকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন। তারা শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বির হোসেনকে সাত হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ছাব্বির হোসেন শিশুটিকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরের ফসলের মাঠে নিয়ে যান। সেখানে ছাব্বিরসহ সবাই মিলে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন শিশুটিকে। এ সময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বারবার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দেবে। তখন ধর্ষণকারীরা শিশুটিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং পরনের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যান। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে।

পিবিআই নিহত শিশুটির সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায়, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশুটির পরনের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতিও পাওয়া যায়।

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশুটির ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেনকে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দত্তকান্দি থেকে শাকিব খান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করে।

পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ফুফাতো ভাই ছাব্বির ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশু মামাতো বোনকে ধর্ষণের জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেও তাকে সেই টাকাও দেয়নি আসামিরা। এছাড়াও ছাব্বির অন্যান্যদের সাথে নিজেও তার মামাতো বোনকে ধর্ষণ ও হত্যা করে। এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © DailyAloPratidin.com