September 16, 2024, 8:12 pm
দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: আইনি পথে তখনও বিচ্ছেদ হয়নি কলকাতার অভিনেত্রী বিদিপ্তা’র। অভিনেত্রীর প্রথম বিয়ে ভাঙার আগেই শান্তিনিকেতনে সাড়ে ছ’বছরের ছোট বিরসার হাত ধরে ‘হারিয়ে গিয়েছিলেন’। সিনেমার চিত্রনাট্য হার মানবে বিরসা – বিদিপ্তার প্রেম কাহিনীর কাছে। বয়সে বড়, এক সন্তানের মা বিদিপ্তার প্রেমে পড়েছিলেন বিরসা। তখনও ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়নি অভিনেত্রীর। কোথায় – কীভাবে শুরু হয়েছিল তাদের প্রেমের গল্প ? সম্প্রতি খোলসা করেছেন এই অভিনেত্রী।
অনেকেই জানেন বিদিপ্তা তার শাশুড়িমাকে কেয়া পিসি বলে ডাকেন, আর শ্বশুরমশাইকে ‘রাজাদা’। বিয়ের ১৪ বছর পরেও সেই ধারা অটুট রয়েছে বলে জানা গেছে। আসলে বিপ্লব কেতন চক্রবর্তীর তিন মেয়েই ছোট থেকে টেলিভিশনের জগতে কাজ করছেন, সেই সূত্রেই পরিচালক রাজা দাশগুপ্ত’র বাড়িতে যাতায়াত ছিল বিদিপ্তা’র। দূরদর্শনের সূত্রে চৈতালিকে বোন বলতেন বিদিপ্তার বাবা, তাই চৈতালিকে পিসি বলতেন বিদিপ্তা। যদিও আসলে বিদিপ্তা ও চৈতালি খুব ভালো বন্ধু। এক সাক্ষাৎকারে বিদিপ্তা বলেন, রাজাদার কাজ করার সূত্রে এই বাড়িতে আমার যাতায়াত। তখন তো বিরসা – রিভুকে ছোট বয়সে দেখেছি। হয়ত বিরসাকে কখনও গালও টিপে দিয়েছি আদর করে, ঠিক মনে নেই (হাসি)। তিনি জানান, স্বামীর চেয়ে বয়সে সাড়ে ছ’ বছরের বড় তিনি। কিন্তু বয়সের এই ফারাক কোনওদিন বাধা হয়নি তাদের সম্পর্কে।
বান্ধবী তথা শাশুড়ি মা বললেন, আমার দুই বউমা ছেলের চেয়ে বয়সে বড়। ভাইও দাদার পথে হেঁটেছে। বিদিপ্তা এর ফাঁকেই বলে ওঠেন, প্রথম বিয়ের আগে কেয়া পিসির সামনে বুদ্ধি চাইতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, কিন্তু সম্পর্কটা ঠিক দিকে চলছিল। সেইসময় আমাকে অন্য একজন প্রোপোজ করে। আমি নন্দন চত্বরের লেডিজ ক্যান্টিনের সামনে চা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করছিলাম, কী করি বলো তো ? উনি আমাকে বলেছিল তুই লালুকে বিয়ে কর। যাই হোক সেই বিয়েটা আমার টেকেনি। এরপর মেয়েকে নিয়ে চলে আসতে বাধ্য হই।
খাতায় – কলমে তখনও ডিভোর্স হয়নি প্রথম স্বামীর সঙ্গে। এক বাড়িতেই থাকেন। মেয়েকে নিয়ে শান্তিনিকেতনে পৌষমেলায় গিয়েছিলেন বিদিপ্তা। কেয়া পিসির সঙ্গেই ছিল তার এই ট্রিপ। দুই ছেলে মুম্বই থেক এসে সারপ্রাইজ দেয় বাবা – মাকে। বিরসার আসবার কথা শুরুতে কেউই জানতেন না। বিদিপ্তা স্মৃতি হাতড়ে বলে চলেন, সেই মেলার মাঠে ওদের ফ্যামিলি রিইউনিয়নের মাঝে আমি কোথা থেকে ঢুকে পড়লাম…। সেই সময় বিরসারও সবে সবে একটা প্রেম ভেঙেছে। আমারই এক বান্ধবীর সঙ্গে ওর প্রেম ছিল। ওরও মন খারাপ, আমিও বিবাহিত জীবন নিয়ে… কেয়া পিসি তো বলে সেই যে তোরা হাত ধরে গল্প করতে করতে কোথায় পৌষমেলার মাঠে হারিয়ে গেলি….।
বিয়ের ১৪ বছর পরেও বিরসাতেই হারিয়ে আছেন বিদিপ্তা। সেইদিন ২৫ বছরের ছেলেটার মধ্যে যে স্থিরতা আর জীবনবোধ দেখেছিলেন তাতেই আকৃষ্ট হন অভিনেত্রী। তিনি বললেন,আমার খুব টালমাটাল একটা সময় যাচ্ছিল, সেই যে ও আমার হাতটা ধরেছিল, আজও ধরে রেখেছে।২০১০ সালের জানুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বিরসা – বিদিপ্তা। ওই বছর অক্টোবরেই ফুটফুটে কন্যা সন্তান ইদার জন্ম দেন অভিনেত্রী। বিদিপ্তার আগের পক্ষের মেয়ে মেঘলাকে (২৪) চোখে হারান বিরসা। বর্তমানে বাবার সহকারী হিসাবে কাজ করে সে।