September 20, 2024, 8:58 am
মুন্সীগঞ্জে অভিনব কায়দায় চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আটক ০১।
দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে এক প্রতারককে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন কেউরচিরা নামক এলাকা থেকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। আটক আসাদুজ্জামান পলাশ (২৬) হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মানিকপুর (শাহজিবাজার) এর মোঃ ফুল মিয়ার ছেলে।
সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফুল হোসেইন তুহিন বলেন, একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তির আত্মীয়ের নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে ঐ আইডি দিয়ে প্রতারণার জাল বিস্তার করে আসাদুজ্জামান পলাশ। সেই আইডি থেকে ঐ প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তির পরিচয় ব্যবহার করে সদ্য অনার্স-মাস্টার্স শেষ করা তরুণীদের টার্গেট করে চাকরি দেওয়ার নামে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিতো এইচএসসি পাস এ প্রতারক। তার কাছ থেকে ১২টি ফেসবুক আইডি উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মেয়েদের নামে ভুয়া আইডি। এসব আইডি থেকে সে নিজেই তদবিরে চাকরি পেয়েছে বলে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে পোস্ট করতো। এসব পোস্টে কেউ কমেন্ট করলে তাকে ওই আইডি থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তির আত্মীয়ের নামে প্রতারক পলাশ কর্তৃক পরিচালিত ভূয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হতো। পরে ভুক্তভোগী তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে চাকরি দেওয়ার নাম করে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে ভুক্তভোগীকে ব্লক করে দিতো।
গত তিন বছর ধরে পলাশ বিভিন্ন ব্যাংক, বিমান সংস্থা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভুক্তভোগীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করে আসছিলো। এই সময়ে সে অন্তত অর্ধশত ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে।
পলাশ প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থ গ্রহণ করতো তার প্রেমিকাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। তার ওপর বিশ্বাস অটুট রাখতে প্রেমিকাদের নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে রাখতো প্রতারণার সব অর্থ। তবে অর্থের নিয়ন্ত্রণ থাকত পলাশের নিজের হাতেই। তার প্রেমিকারা জানেন না কোথা থেকে আসতো এসব অর্থ। এ ছাড়া তার প্রকৃত নাম-ঠিকানাও জানে না তারা। এ প্রতারককে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে।
এ বিষয়ে এক ভূক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মতিঝিল থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলাটি সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে হস্তান্তর হলে সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আরিফুল হোসেইন তুহিন এর নেতৃত্বে প্রতারককে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন কেউরচিরা নামক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ড চেয়ে প্রেরন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং রিমান্ড শেষে আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।
