September 20, 2024, 12:02 am
দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন ওয়াব্রাং এলাকা এবং ১৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৮ ও ১৪ এপিবিএন কর্তৃক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সাজাপ্রাপ্ত/ওয়ারেন্টভুক্ত চারজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
র্যাব এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, উখিয়া থানার মামলা নং-৩৪ তাং ৭/০২/২২, ধারা-১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৫৩ পেনাল কোড ১৮৬০ এবং জিআর নং-২৪৫/২২, ধারা-৩৬(১) এর ১০(গ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ মোতাবেক পলাতক আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫, কক্সবাজার তৎপরতা অব্যাহত রাখে। এ প্রেক্ষিতে গত ১১ মার্চ ২০২৪ তারিখে র্যাব-১৫, কক্সবাজার এবং ৮ ও ১৪ এপিবিএন কর্তৃক ১৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে বর্ণিত মামলার পলাতক আসামী রহিম উল্লাহ (৩৫) (রোহিঙ্গা), আতাউল্লাহ (২২), (রোহিঙ্গা) এবং হাশিম উল্লাহ প্রকাশ মাষ্টর হাশিমুল্লাহ (২৯), (রোহিঙ্গা) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
অপরদিকে, র্যাব-১৫, সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের পৃথক আরেকটি অভিযানে অদ্য ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখে অনুমান ০০.১৫ ঘটিকার সময় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার মামলা নং-৮৮, তারিখ ২৬/০২/২০২২, জিআর নং-১৮৮/২২, প্রসেস নং-১৭৮৩১/২১, ১০(গ)/৪১ এর ৩৬(০১) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ মোতাবেক মাদক মামলার পলাতক আসামী সেলিম মিয়া’কে কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন ওয়াব্রাং এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীরা নিজেদেরকে সংশ্লিষ্ট মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী বলে স্বীকার করে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিস্তারিত পরিচয়:
১) রহিম উল্লাহ(৩৫) (রোহিঙ্গা), পিতা-জাফর উল্লাহ, ব্লক-এ/২৯, ক্যাম্প-৮/ডব্লিউ, উখিয়া, কক্সবাজার কক্সবাজার।
২) আতাউল্লাহ(২২), (রোহিঙ্গা), পিতা-মোঃ রশিদ, সাং-কুতুপালং ক্যাম্প, ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক-এ/১১, হেডমাঝি-আব্দুল মান্নান, উখিয়া কক্সবাজার।
৩) হাশিম উল্লাহ প্রকাশ মাষ্টর হাশিমুল্লাহ(২৯), (রোহিঙ্গা), পিতা-মোহাম্মদ প্রকাশ ওলা মিয়া, মেইন ব্লক-ডি, ক্যাম্প-৮/ডব্লিউ, উখিয়া, কক্সবাজার কক্সবাজার।
৪) সেলিম মিয়া (২৯), পিতা-মোঃ সৈয়দ নুর, সাং-ওয়াব্রাং, ৩নং ওয়ার্ড, হ্নীলা ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।