September 19, 2024, 4:20 pm

নোটিশ:
সংবাদদাতা আবশ্যক
সংবাদ শিরোনাম:
উপজেলা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ। নিউ হোপ এ্যানিমেল নিউট্রিশন কোম্পানীর পক্ষ হতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের জন্য গো- খাদ্য প্রেরণ। বগুড়ার শাজাহানপুরে জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫। ঘোড়াঘাটে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত। কাহালুর মাঝপাড়া জাগ্রত মানবসেবা সংস্থার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন। তালোড়ার ডাঃ শফিউল করিমের প্রাণ নাশের চেষ্টা থানায় জিডি। কাহালুর এরুইল বাজার ইসলামী ব্যাংক এজিন্ট শাখার গ্রাহক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা। বগুড়ার কাহালুতে নকল সোনা মূর্তি সহ ২ জন গ্রেফতার। কাহালুর ইউএনও’র স্বেচ্ছাচারিতায় বিতর্কিত কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও সুন্নতী জামে মসজিদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত।

নাটোরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায়, ৬ জনের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড।

দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: রোববার (০৩ মার্চ) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের অনুপস্থিতিতে ১৫ বছর আগে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অপরাধে ছয় যুবককে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নাটোরের একটি আদালত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়ারী এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে সুজাব আলী (২০), একই এলাকার আফেন মুন্সির ছেলে সুমন আলী (১৯), রকমান আলীর ছেলে মো. রফিক (২২), আব্দুস সামাদের ছেলে মো. ডাব্লু (২০), আতাহার আলী আতা (২৫) এবং রাজশাহীর পুঠিয়ার মতিউর রহমানের ছেলে ইমদাদুল হক (২৬)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ভুক্তভোগী মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়ার সময় যৌন হয়রানিমূলক অশ্লীল কথাবার্তা ও অঙ্গভঙ্গি করত। এর একপর্যায়ে ২০০৯ সালের ৫ মে ওই স্কুলছাত্রীকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পাশের একটি কলা বাগানে ধর্ষণ করে সুজাব আলী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা বাদী হয়ে পরের দিন ৬ মে সুজাব আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর সুজাব আলী ও তার সহযোগীরা মামলা তুলে না নিলে ভুক্তভোগী পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভোগীর বাবা তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০০৯ সালের ১২ মে আসামিরা অস্ত্রের মুখে ওই স্কুলছাত্রীকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়েকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে স্কুলছাত্রীর বাবা নাটোর জেলা ও দায়রা জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করে। এরপর অভিযুক্তরা আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শেষে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে দীর্ঘ ১৫ বছর পরে আদালত এ রায় দেন। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই এ রায় দেন বিচারক।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © DailyAloPratidin.com