October 22, 2024, 10:25 am
দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে বসুন্ধরা, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার দায়ে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ২৮ জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, নগরীর বিভিন্ন অভিযাত এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বহুতল ভবনের বিভিন্ন তলায় রেস্তোরাঁসহ নানা বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড চলছে। সেসব ভবনের অগ্নিনিরাপত্তাসহ জননিরাপত্তার অনেক বিধিবিধান মানা হচ্ছে না। এসব ভবনে রান্নাঘর, এসি স্থাপনের ক্ষেত্রেও মানা হয়না ফায়ার সার্ভিসের বিধান। অনেক রেস্টুরেন্টের ভেতরে আবার তৈরি হয়েছে ধূমপানের স্থান। ফলে রাজধানীর রেস্টুরেন্টগুলো অগ্নিবোমার ডিপোতে পরিণত হয়েছে।
পুলিশ বলছে, অভিযানে রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে কি না এবং রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্ট যেসব অনুমোদন প্রয়োজন সেগুলো রয়েছে কি না অভিযানে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা দেখা গেলেই সতর্ক করা হচ্ছে বা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল হোসেনের নেতৃত্বে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখসহ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আল্লাহর দান, কাবাবপুরা, মেজবান ভাই, কাচ্চি ভাইসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আল্লাহর দান রেস্তোরার মালিক মিজানুর রহমান, কর্মচারী হৃদয় ও কাবাবপুরার ম্যানেজার জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার এবং রাস্তা দখল করে মালামাল রাখার কারণে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মাইনুল হোসেন বলেন, ‘রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযানে দেখছি, রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে কি না এবং রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্ট যেসব অনুমোদন প্রয়োজন সেগুলো রয়েছে কি না। অনিয়মের কারণে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটিকে সতর্ক করা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান, অভিযান শেষে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।
এদিন সন্ধ্যায় গুলশানের অভিযানে কয়েকটি ভবনের রেস্টুরেন্টের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেছেন পুলিশ কর্মকর্তা। ভবনগুলোতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা কিংবা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে, নিরাপদ প্রস্থানের রাস্তা আছে কি না পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়।
এদিকে একই সময়ে ধানমন্ডিতে ১৫টি রেস্তোরাঁয় অনিয়ম ও অব্যবস্থপনার অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাজধানীতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হচ্ছে। অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখা গেলেই আমরা সতর্ক করছি। কিছু কিছু জায়গায় আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। কেবল ধানমন্ডিতেই ১৫টি রেস্তোরাঁয় অনিয়ম ও অবব্যবস্থপনার অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে।’