September 8, 2024, 3:14 am
দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে ডিবি পুলিশ চাঁদাবাজির মামলা তদন্ত করতে গেলে বের হয়ে আসে ১২ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চড়পাড়া গ্রামে। অভিযুক্ত এ ব্যাক্তির নাম মোহাম্মদ আলী (৪৫), তার দুটি সন্তান আছে।
এলাকাবাসী জানায়, ১২ বছরের ওই কিশোরী মায়ের সঙ্গেই থাকে। সম্প্রতি কিশোরীকে বাড়িতে রেখে মা কাজে গেলে একই এলাকার মোহাম্মদ আলী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ভুক্তভোগীর মা বিচারের জন্য স্থানীয় মেম্বার সাইদুল ইসলাম মিয়ার কাছে যান। সাইদুল ইসলাম বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য মোহাম্মদ আলীর কাছে টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে মোহাম্মদ আলী তার শাশুড়ি নিয়াশা বেগমকে (৬৫) বাদী করে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে এসআই ফজলে মাসুদ জানান, মামলার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, বাদীর মেয়ের জামাই মোহাম্মদ আলী চড়পাড়ায় এক কিশোরীকে পরপর দুই দিন ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে আমি তাকে লোক মারফত খবর পাঠাই দেখা করার জন্য। সে আমার কাছে আসলে তার কাছে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাই। কিশোরী জানায়, মোহাম্মদ আলী তার এ সর্বনাশ করেছে। তবে, মোহাম্মদ আলী পুরো বিষয় অস্বীকার করেন। সে তার শাশুড়িকে দিয়ে আমাকেসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা রুজু করে। অন্য আসামিরা হলো- একই এলাকার ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া ও হাছেন মিয়ার ছেলে মোশারফ মিয়া।
চালাকচর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম মুক্তা বলেন, বিষয়টি শুনে তিনি মেয়ে ও মেয়ের মাকে থানায় পাঠিয়েছিলেন। পরে থানা পুলিশ উল্টো তাদেরই দেন দরবার করে মীমাংসা করে দেওয়ার অনুরোধ জানান। এর বেশিকিছু তিনি জানেন না।
মনোহরদী থানার পরিদর্শক আবুল কাশেম ভূঞা বলেন, এ বিষয়ে মেম্বার চেয়ারম্যানের সালিশ দরবার করার কোনো এখতিয়ার নেই। এমনকি থানায় এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি। যদি আসত তাহলে অবশ্যই মামলা নিয়ে নিতাম। এমন বিষয় চেয়ারম্যানকে মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলার প্রশ্নই আসে না। যদি এখনো তারা থানায় আসে তাহলে অবশ্যই দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।