September 19, 2024, 5:13 pm
প্রেস রিলিজ: প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল তার পেশা। এ জন্য তিনি কখনো জেল সুপার, পুলিশ কর্মকর্তা বা কখনও আইনজীবী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। কারাগারে বন্দি আত্মীয় স্বজনদের কাছে ফোন করে আসামিদের মুক্ত করার কথা বলে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। অবশেষে র্যাব এর হাতে আটক হলেন অভিযুক্ত মামুন হোসেন ও তার সহযোগী।
আটক হওয়া মামুন পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড় আহাদ মোড় গ্রামের আজহার সরকারের ছেলে। ইমরান হোসেন (২৮) বোঁথড় গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব পাবনা ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সেখানে এতথ্য জানান র্যাব-১২ সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকার আদালত প্রাঙ্গনে উৎকণ্ঠা নিয়ে আসামিদের আত্মীয় স্বজনরা অপেক্ষা করেন। কেউ জামিনের জন্য আবার কেউ অপেক্ষা করেন কারাগার থেকে হাজিরা দিতে আসা স্বজনদের একনজর দেখার জন্য। এই ধরনের ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনদের টার্গেট করে প্রতারক চক্র। কখনো জেল সুপার, কখনো জেলা পুলিশ, কখনো বা উকিল পরিচয়ে কারাগারে বন্দিদের আত্মীয় স্বজনের মোবাইল নম্বরে ফোন করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং জামিন ও মামলার নিষ্পত্তির কথা বলে এই চক্রটি। পরে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পাবনা জেলায় নানা কৌশলে মোবাইলের মাধ্যমে প্রতরণা করে আসছিল। এ রকম একটি ঘটনায় প্রতারিত হন পাবনা সদর উপজেলার শ্রীকোল পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবু তালেব প্রামানিকের ছেলে আসলাম প্রামানিক। তার বাবার জামিন করে দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ ৭ হাজার ৩০০ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। ভুক্তভোগী আসলাম র্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। গতকাল শনিবার অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা মামুন ও তার সহযোগী ইমরানকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলা দিয়ে আটককৃতদের চাটমোহর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।