September 16, 2024, 8:24 pm

নোটিশ:
সংবাদদাতা আবশ্যক
সংবাদ শিরোনাম:
বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও সুন্নতী জামে মসজিদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত। নওগাঁয় র‍্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিস্ফোরক আটক। স্ত্রীর দাবী নিয়ে শিবগঞ্জের নলডুবি প্রবাস ফেরৎ যুবকের বাড়ীতে মহিলার অবস্থান। কাহালুতে বিএনপি’র উদ্যোগে প্রতিষ্ঠান প্রধান ব্যবসায়ী ও হিন্দু সম্প্রদায়ে নেতৃবৃন্দর মতবিনিময়। শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মূখোমূখী করতে হবে মাওঃ আব্দুল হক আজাদ। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। পোশাক কারখানায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উসকানিদাতা ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার। ঘোড়াঘাটে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ ও বাইসাইকেল বিতরণ। কন্যা সন্তানের মা হলেন দীপিকা পাডুকোন। বগুড়ার কাহালু উপজেলা প্রধান শিক্ষক ও ব্যবসায়ীকসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজধানীর প্রাইভেট কারের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া নারী পুরুষের মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল।

দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এলেনবাড়ী এলাকায় প্রাইভেটকার থেকে উদ্ধার হওয়া নারী-পুরুষের মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্ত, সার্বিক তদন্ত এবং বোতলের তরল পদার্থের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে তাদের মৃত্যুর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই আমিনুল কবির বলেন, গভীর তদন্ত ও সব দিক পর্যালোচনা করেও তাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ না পাওয়া এবং এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহ বা অভিযোগ না থাকায় মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য যে গত ৭ জুন রাত ১২টার দিকে দেলোয়ার হোসেন মোল্লা তাঁর স্ত্রী কাজল রেখাকে গাড়িতে জ্বালানি তেল নেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। পরে ভোরের দিকে তেজগাঁওয়ে এলেনবাড়ী সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের পুকুরপাড়ে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৪-০৭২৫) থেকে নারী-পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে কাজল রেখা পুরুষ ব্যক্তিকে তাঁর স্বামী বলে শনাক্ত করেন। তিনি একটি সরকারি অফিসের সহায়ক ছিলেন। ওই এলাকার সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারেই পরিবার নিয়ে থাকতেন। আর গাড়িতে উদ্ধার হওয়া মৌসুমী আক্তার রানী স্বামী পরিত্যক্ত; তিনি ঢাকার উত্তরা-পশ্চিমের ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

সেই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেছিলেন, মৌসুমীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনের কললিস্টের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই রাতে তাঁর ফোনে একাধিক ব্যক্তি ফোন করেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কেউ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, কেউ দিনমজুর। তারা মাঝেমধ্যে মৌসুমীর সঙ্গে রাত কাটাতেন।

ওই ঘটনায় মৃত দেলোয়ারের ছোট ভাই মিন্টু মোল্লা বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করেন। পরে চার মাসের বেশি সময় তদন্ত করে গত ২৫ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট আলামত সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ছিল– তাদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন, একটি কিনলে পানির বোতলে তরল পদার্থ ও একটি কোকা-কোলা বোতলে কোক জাতীয় তরল পদার্থ। তবে সিআইডি সেসব তরল পদার্থ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছে, বোতলে বিষ জাতীয় কিছু ছিল না।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মো. শহীদুল্লাহ নামে এক পথচারী ফজরের নামাজ আদায়ের পর বাসায় ফেরার পথে দেখেন, এলেনবাড়ী স্টাফ কোয়ার্টারের পুকুরপাড়ে ইঞ্জিন চালু একটি প্রাইভেটকার কাভার দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পার্ক করা। তিনি আশপাশের লোকজন নিয়ে গাড়ির ওপর থেকে কাভার সরিয়ে দেখেন, দেলোয়ারসহ এক নারী বিবস্ত্র অবস্থায় পেছনের সিটে বসা, তবে তাদের কোনো সাড়া-শব্দ নেই। চিৎকার করেও তাদের সাড়া না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। পরে তাঁর স্ত্রী কাজল ও ছোট ভাই মিন্টু এসে গাড়ির দরজা খুলে দেখেন, তারা মৃত। তাঁর ভাই গাড়িটি নিয়ে বাসার নিচে গ্যারেজে রাখেন। পরে তেজগাঁও থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে। সুরতহাল প্রতিবেদন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে লাশ পাঠায়।

গত শনিবার বিকেলে তেজগাঁও থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানার সামনে সেই প্রাইভেটকারটি পড়ে আছে। এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার এসআই আমিনুল কবির বলেন, কয়েকবার মৃত দেলোয়ারের পরিবারকে গাড়ির বিষয়ে জানানো হয়। তাদের বলা হয়, আদালতে আবেদন করে গাড়িটি নিয়ে যেতে। তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © DailyAloPratidin.com