September 22, 2024, 5:36 am
দৈনিক আলো প্রতিদিন ডেস্ক: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক দুটি মামলা করেন একই কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন। মামলাটি করা হয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপব্যবস্থাপক মো. রিয়াজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী মনিকা রেজার বিরুদ্ধে ।
মামলা সম্পর্কে জানা যায়, রিয়াজুল ইসলাম চাকরিজীবী ও তাঁর স্ত্রী গৃহিণী। তাঁরা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। রিয়াজুল ইসলামের ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৪০২ টাকার ও মনিকা রেজার ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ২০৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ রয়েছে।
রিয়াজুল ইসলামের (৩৪) বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায়। তিনি উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের শামুকখোলা (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ কার্যালয়ে কর্মরত।
দুদকের যশোর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল রিয়াজুল ইসলাম তিতাস গ্যাসের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাঁদের আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে ওই মামলা করা হয়েছে। চাকরি করাকালে এই দম্পতি গ্রামের বাড়ির এলাকায় ১৩৬ শতক ধানি জমি কিনেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে ৩৮ লাখ ৫১ হাজার ৬২০ টাকা রয়েছে এবং ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৮৭০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন। এসব সম্পদের অনেকাংশ তিনি স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করেছেন। রিয়াজুল ইসলামের বেতন বিবরণী ও আয়কর নথি অনুযায়ী এসব সম্পদ তাঁর আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।
মামলার বাদী দুদকের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে রিয়াজুল ইসলাম ও মনিকা রেজা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা ধার-দেনা করে এই সম্পদ অর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন। তদন্তে পুরো বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।