September 19, 2024, 1:40 am
নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিক এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রোববার ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের লোকদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি একটি ওপেন সিক্রেট। মন্ত্রীপরিষদের সাবেক এক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। যার মূল্য ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড, যা দেশের বৈদেশিক রিজার্ভের এক শতাংশের সমতুল্য। এটি অনেক ঘটনার মধ্যে একটি। বাংলাদেশ সরকারকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নিবে?
এর জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, আমরা এই রিপোর্টের বিষয়ে অবগত রয়েছি। বাংলাদেশ সরকারকে বলব, তাদের সব কর্মকর্তা যেনো দেশটির আইন এবং অর্থনৈতিক বিধি-বিধান মেনে চলে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যে কোম্পানি হাউসের কর্পোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে ব্লুমবার্গের বিশ্লেষণে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও বর্তমান এমপি সাইফুজ্জামানের সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, সিনেমা হল ও জিমনেসিয়াম সহ একটি প্রপার্টি, টাওয়ার হ্যামলেটসে আবাসন, লিভারপুলে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ভবন এবং ম্যানহাটনে অন্তত ৫টি প্রপার্টি। এই প্রপার্টিগুলোর মোট মূল্য প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলার।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী তার সম্পদের ঘোষণাপত্রে তার যুক্তরাজ্যের সম্পদের পরিমাণ দেখাননি। তিনি বাংলাদেশে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫৮ দশমিক তিন মিলিয়ন টাকা এবং তার স্ত্রী রুখমিলা জামানের মোট সম্পদের পরিমাণ নয় লাখ ৯৩ হাজার ডলার বলে জানান। তিনি মন্ত্রী হিসেবে ২০২২-২৩ সালে তার বেতন প্রায় ১০ হাজার পাউন্ড হিসাবে দেখানো হয়।
তার সম্পত্তির কারণে প্রশ্ন উঠতে পারে, রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ততা আছে এমন লেনদেন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের আইন আদৌ কার্যকর কি না। সাইফুজ্জামান যুক্তরাজ্যের ২০১৭ সালের অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইনে সংজ্ঞায়িত ‘পলিটিক্যালি এক্সপোজড পারসন (পিইপি)’ ক্যাটাগরিতে পড়েন। এইসব ব্যক্তি সম্পত্তি কেনার মতো ব্যবসায়িক লেনদেনে নিযুক্ত থাকলে তাদের সম্পৃক্ততা অতিরিক্ত তদন্তের দাবি রাখে।
ব্লুমবার্গ তাদের প্রতিবেদনে উল্লিখিত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যাদের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর জন্য সম্পত্তি কেনার সঙ্গে জড়িত আর্থিক সেবা ও আইনি প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, ২০১৬ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কেনায় ৬৭০ কোটি পাউন্ড মূল্যের ‘সন্দেহজনক তহবিল’ চিহ্নিত করেছে।