September 16, 2024, 8:12 pm
নিউজ ডেস্ক: অনিরুধসিংহ জাদেজা (রবীন্দ্র জাদেজার বাবা)
“রবীন্দ্র জাদেজা ও তার স্ত্রী রিভাবার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তাদের ডাকি না এবং তারাও আমাদের ডাকে না।
বিয়ের দুই-তিন মাস পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়। আমি বর্তমানে জামনগরে একা থাকি, আর রবীন্দ্র তার নিজের একটি আলাদা বাংলোতে থাকে। একই শহরে থাকে কিন্তু আমি তাকে দেখতে পাই না। আমি জানি না রবীন্দ্রের স্ত্রী রবীন্দ্রের ওপর কী জাদু করেছে
গ্রামে কিছু জমি রয়েছে। এ ছাড়া প্রয়াত স্ত্রীর পেনশন বাবদ 20 হাজার টাকা পাই। তা দিয়েই চলে যায়।
রবীন্দ্র জাদেজা আমার ছেলে এবং এটি আমার হৃদয়কে পুড়িয়ে দেয়। আমি যদি তাকে বিয়ে না দিতাম,ক্রিকেটার না হতে দিতাম তাহলেই ভালো হতো। সেই ক্ষেত্রে আমাদের এই সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে যেতে হত না
নিজের মতো করেই বেঁচে রয়েছি। তবে আমার এই ফ্ল্যাটেও রবীন্দ্রর জন্য আলাদা একটা ঘর রাখা আছে। আমি আর আমার মেয়ে কঠোর পরিশ্রম করে জাদেজাকে ক্রিকেটার বানিয়েছি। 20 লিটারের দুধের ক্যান নিয়ে এক সময় ঘুরেছি রোজগারের জন্য। ওয়াচম্যানের কাজও করেছি।
আমরা আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিলাম না। আমার চেয়েও অনেক বেশি কষ্ট করেছে আমার মেয়ে, জাদেজার দিদি। মায়ের মতো করে ভাইকে আগলে রেখেছিল যদিও জাদেজা এখন দিদির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখে না।
রবীন্দ্রর বিয়ের পরই রেস্তরাঁর মালিকানা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। রবীন্দ্রর স্ত্রী রিভাবা রবীন্দ্রকে চাপ দেয় মালিকানা তাঁর নামে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। যদিও রবীন্দ্রর দিদি বুঝতে পারে ভাই ভালোভাবে রেস্তরাঁ চালাতে পারবে। সেই কারণে মালিকানা হস্তান্তরের নথিতে সই করে দেয়।
রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবার পরিবার রেল কোয়ার্টারে থাকতো। রবীন্দ্র জাদেজার অর্থেই 2 কোটি টাকার বাংলো কিনেছে সম্প্রতি।
আমি রবীন্দ্রকে ফোন করি না। আমার তাঁকে দরকার নেই। আমি বাবা, রবীন্দ্ররই তো আমাকে ফোন করা উচিত। এমন পরিস্থিতিতে কান্নাই পায়, রক্ষাবন্ধনের সময় তাঁর দিদিও চোখের জল ফেলে ভাইয়ের জন্য।
বিয়ের তিন মাসের মধ্যে আমার ছেলে রবীন্দ্রের স্ত্রী রিভাবা আমাকে বলেছিল সবকিছু তার নামে হস্তান্তর করে দিতে। সে আমাদের পরিবারে ফাটল সৃষ্টি করেছে। রবীন্দ্রের স্ত্রী পরিবার চায়নি এবং একটি স্বাধীন জীবন চেয়েছিল । আমি ভুল হতে পারি, এবং নয়নাবা (রবীন্দ্রের দিদি) ভুল হতে পারে, কিন্তু আপনি আমাকে বলুন, আমাদের পরিবারের 50 জন সদস্য কীভাবে ভুল হতে পারে?
পরিবারের কারো সাথে রবীন্দ্র জাদেজা কোনো সম্পর্ক নেই; শুধু ঘৃণা আছে। আমি কিছু লুকাতে চাই না। আমরা পাঁচ বছরের আমাদের নাতনির মুখও দেখিনি”।