September 22, 2024, 5:41 pm

নোটিশ:
সংবাদদাতা আবশ্যক
সংবাদ শিরোনাম:
বায়তুল মোকাররমের সেই খতিবকে অপসারণ। শাজাহানপুরে শী’র্ষ স’ন্ত্রা’সী সাগরসহ অপর সহযোগী দূ’র্বৃত্তে’র হা’মলা’য় খু’ন! ঘোড়াঘাটে আন্তঃজেলা দলের কুখ্যাত ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার। নওগাঁয় শিয়াল, কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আতঙ্কে এলাকাবাসী। কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলডন্ডি ইউনিয়ন থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার। শিক্ষা দিবসে ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলার ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত। ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিন লাখ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। রাজশাহীর চারঘাট থানা পুলিশ কর্তৃক ৮১০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার। আন্তর্জাতিক সর্প দংশন সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাহালুতে ৩শ’ পিস টেপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ স্বামী স্ত্রীকে গ্রেফতার।

অতঃপর সেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে, ভুক্তভোগী এইচএসসি শিক্ষার্থীর ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ

রায়হান পারভেজ
শেরপুর (বগুড়া) :

গত ২৩/০৮/২৩ ইং তারিখে দৈনিক আলো প্রতিদিন সহ বেশ কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় “শেরপুরে অধ্যক্ষের প্রতারণায় পরীক্ষায় বসতে পারল না তিন শিক্ষার্থী” শিরোনামে নিউজ হ‌ওয়ার পর সকল হুমকি ধামকি কে উপেক্ষা করে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আলমগীর হোসেন কারগিরী শিক্ষা বোর্ডের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে ও সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,
মোটর শ্রমিক আলতাবের ছেলে আলমগীর হোসেন। গত বছর হাপুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে পাশ করেছে জিপিএ ৫ নিয়ে। এর পর ভর্তি হয় নাটোর সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে। কিন্তু কিছু দিন ক্লাস করে চলে আসে টাকার অভাবে। এরপর ভর্তি হয় স্থানীয় একটি টেকনিক্যাল কলেজে। কিন্তু অধ্যক্ষের প্রতারণার কারণে এবারে অংশগ্রহণ করতে পারছে না ১ম বর্ষের বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায়।

শুধু আলমগীর নয়। বগুড়ার শেরপুরে কল্যাণী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের ফয়সাল ও রাফসানের সাথে ঘটেছে একই ঘটনা।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত বছর জিপিএ পাঁচ পেয়ে এসএসসি পাস করে, বগুড়ার শেরপুরর রাফসান এবং আলমগীর, ফয়সাল নামের তিন শিক্ষার্থী। এরপর ফয়সাল বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রাফসান কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং আলমগীর নাটোর সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়। কিন্তু অভাবের কারণে তাদের পরিবার আর অর্থের যোগান দিতে পারে না। তখন তারা শেরপুরের কল্যাণী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজে অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ভর্তির টাকা জমা দেয়। ওই তিন ছাত্র এইচএসসি (বিএম) ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য টাকাও পরিশোধ করেছে। সর্বশেষ গত ৭ আগস্ট পরীক্ষার প্রবেশপত্র বাবদ ১ হাজার টাকাও নিয়েছেন অধ্যক্ষ। কিন্তু ১২ তারিখে তারা জানতে পারেন তারা ওই কলেজের শিক্ষার্থীই না। ফলে আগামী ২৭ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি (বিএম) ১ম বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না তারা।
বিষয়টি নিয়ে নিউজ হলে টাকা ফেরৎ দিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করছেন কলেজটির অধ্যক্ষ। ইতি মধ্যে তিনি তাদেরকে ৫ হাজার টাকা ও এসএসসির কাগজপত্রও ফেরৎ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী রাফসান জানায়, আমার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ৫ হাজার টাকা ও কাগজপত্র ফেরৎ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আার জীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়েছে, আমার পরিবার আর কোন জটিলতায় যেতে চাচ্ছে না।

অভিযোগকারি আলমগীর হোসেন জানায়, অধ্যক্ষ স্যার আমার যে ক্ষতি করেছন তা অপূরণীয়। বুধবার রাতে একটি অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য আমার বাসায় গিয়েছিলেন। আমি স্বাক্ষর করি নাই। আমি তার উপযুক্ত বিচার ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ চাই।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কল্যাণী টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি দৈনিক আলো প্রতিদিন কে বলেন, “বোর্ডের নিয়ম অনুসরন করেই ওই তিন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু বোর্ডের জটিলতার করণে তাদের রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হয়নি। তাই আমার করার কিছু নেই।“

এ বিষয়ে ওই কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি ও শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © DailyAloPratidin.com