September 20, 2024, 4:15 am

নোটিশ:
সংবাদদাতা আবশ্যক
সংবাদ শিরোনাম:
উপজেলা ছাত্রদলের বিরুদ্ধে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ। নিউ হোপ এ্যানিমেল নিউট্রিশন কোম্পানীর পক্ষ হতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারীদের জন্য গো- খাদ্য প্রেরণ। বগুড়ার শাজাহানপুরে জমি নিয়ে বিরোধে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫। ঘোড়াঘাটে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী-সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত। কাহালুর মাঝপাড়া জাগ্রত মানবসেবা সংস্থার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন। তালোড়ার ডাঃ শফিউল করিমের প্রাণ নাশের চেষ্টা থানায় জিডি। কাহালুর এরুইল বাজার ইসলামী ব্যাংক এজিন্ট শাখার গ্রাহক সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা। বগুড়ার কাহালুতে নকল সোনা মূর্তি সহ ২ জন গ্রেফতার। কাহালুর ইউএনও’র স্বেচ্ছাচারিতায় বিতর্কিত কর্মকান্ডের স্বচ্ছতা নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন বগুড়ায় হক্বের দাওয়াত সিদ্দীক্বিয়া দরবার ও সুন্নতী জামে মসজিদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত।

বিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরি ৫ বছর ধরে বন্ধ!

আব্দুর রউফ সোহেল বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার প্রায় শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী বিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরি নিজস্ব জায়গা না থাকায় প্রায় ৫ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। সকল শ্রেণির পাঠক পাবলিক লাইব্রেরির বিনা মূল্যে বই পড়া থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
বিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরির বর্তমান আহবায়ক অধ্যক্ষ আবু তাহের জানান, ১৯৩৫ সালে বিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় থেকে বিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে এটি চালু ছিল। ক্রমাগত এই পাবলিক লাইব্রেরির বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ও পাঠক সংখ্যাও ছিল অনেক। স্বাধীনতার সময় বই ও আসবাবপত্র বিনষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় শৃজনশীল ব্যক্তিদের প্রচেষ্ঠায় এটিকে আবারও পুনরুজ্জীত করা হয়। ব্যক্তিগত সহযোগিতা ও সরকারি সহায়তায় প্রায় দেড় সহশ্রাধিক বই পাঠকদের জন্য সাজিয়ে রাখা ছিল ছিল। পাঠকদের বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ও আসবাব পত্র ছিল। সেখানে প্রতিদিন অসংখ্য পাঠক এসে বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞানার্জন ও শৃজনশীলতার মাধ্যমে অবসর সময় অতিবাহিত করতেন।
১৯৯৫ সালে বিরামপুর পৌরসভা হিসাবে গঠিত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের জায়গাটি পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে আসে। বিরামপুর পৌরসভা ২০১৭ সালে ঐ স্থানে পৌর মার্কেট নির্মাণ শুরু করে। সে সময় তৎকালীন পৌর মেয়র বিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরিকে মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ঘর বরাদ্দ দিবে মর্মে চুক্তিপত্র সম্পাদন করে এবং পাবলিক লাইব্রেরির আসবাবপত্র ও বই পুস্তক পৌরসভায় গচ্ছিত রাখেন। ২০১৭ সালে পৌর মার্কেট নির্মান শুরু হলেও একতলা পর্যন্ত  নির্মিত হওয়ার পর বিভিন্ন অভিযোগে আইনী জটিলতায় নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জায়গা না পাওয়ার কারণে ৫ বছর ধরে পৌরসভায় আবদ্ধ পাবলিক লাইব্রেরির বই আর আলোর মুখ দেখছেনা। সকল শ্রেণির পাঠক পাবলিক লাইব্রেরির বিনা মূল্যে বই পড়া থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার জানান, বিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরি ও শিল্পকলা একাডেমির জন্য জায়গা বরাদ্দের আবেদন মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে।
পৌরসভার বর্তমান মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে লাইব্রেরি কমিটির সাথে কথা হয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব পাবলিক লাইব্রেরির জন্য একটি জায়গার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন, বিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে পাবলিক লাইব্রেরির জন্য সরকারি জায়গা বরাদ্দের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত পাবলিক লাইব্রেরি চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © DailyAloPratidin.com